পরে
হেল্পারের কাছ থেকে জানতে পারলাম ওদরে বাকি দু’জনকে ওই প্রানীরা ধরে খেয়ে ফেলেছে। মাঝরাতের দিকে
বাসের আলোগুলি ম্লান হয়ে আসলো এবং ধীরে ধীরে নিভে গেল। ব্যাটারি শেষ
হয়ে গেছিল।হয়তো লোকটা টর্চটা জ্বেলে বসে থাকল কিন্তু প্রানীগুলো খুবই নিকটে
ঘোরাফেরা করতে লাগলো। একসময় সামনের দিকে একটি প্রানী ভাঙ্গা কাঁচের ফোঁকর গলে আসতে
চেষ্টা করলো। লোকটি টর্চের আলো ফেললো। প্রানীটির মূখ অদৃশ্য
হলো। কিন্তু জানালা থেকে এক সাথে দুইটা লোকটির উপর লাফ দিল। একটা
লোকটার হাত কামড়ে ধরলো। হাত থেকে টর্চ পড়ে গেল। সাথে সাথে এক
গাদা প্রানী বাসের মধ্যে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লো। সবগুলো প্রানীর
বিশ্রী কালচে দেহ। অনেক লম্বা দাত। হা করে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল আর তখনই
ব্যাপারটার পূণরাবৃত্তি শুরু হল। সব কিছু স্থির হয়ে গেল।
প্রানী গুলি এবং বাসের সবাই, আমি তারার আলোয় দেখতে পেলাম সব
কিছু পজ হয়ে গেছে। এবং তারপর আবার সেই ‘দ্যা হাউস অব ওয়াক্স’ সিনেমার মত সবকিছু গলতে শুরু করলো। প্রানীগুলি, মানুষ গুলি, আমাদের বাসটা আশেপাশের পাথর এমনকি তারাগুলোও মোমের মত গলে গলে পড়তে
লাগলো। আমার যখন জ্ঞান ফিরলো
আমি তখন আমাকে একটা হাসপাতালের বেডে আবিস্কার করলাম। পরে শুনেছি আমি দুইদিন অজ্ঞান ছিলাম। বাস এবং ট্রাক সংঘর্ষে
বাসের ১৭ জন মারা গেছে। এদের মধ্যে দুইজন মহিলা ছিল। পরে আমি খোঁজ খবর করে জেনেছি আমার স্বপ্নে যারা মারা
গেছিল বা নিখোঁজ হয়েছিল বাস্তবেও অ্যাক্সিডেন্টে তারা মারা গেছিল। আমি অ্যাক্সিডেন্টে
বেঁচে যাওয়া মানুষদের সাথে কথা বলেছি। কেউ কোন স্বপ্ন বা অন্যরকম কিছু দেখেছে কিনা মনে করতে
পারেনা। আকরাম নামে একজন শুধু
অদ্ভুত কিছু কথা বললো। সে কুষ্টিয়া চৌড়হাস থাকে,ব্যবসার কাপড় কিনতে ঢাকা
যাচ্ছিল। সে বিশ্বাস করে
বাসটিকে কোন জ্বীন তুলে নিয়ে তাদের দুনিয়ায় নিয়ে গিয়েছিল। এবং পরে আবার ফিরিয়ে দিয়ে গেছে। কি কারণে জ্বীন এরকম করলো জিজ্ঞাসা করলে আকরাম বললো আমি
কি জানি; জ্বীন জানে। আমি ক্যামমা করে কব। শেষ অংশ
No comments:
Post a Comment