Saturday, February 22, 2014

পরাবাস্তব ভ্রমন




               পরে হেল্পারের কাছ থেকে জানতে পারলাম ওদরে বাকি দুজনকে ওই প্রানীরা ধরে খেয়ে ফেলেছেমাঝরাতের দিকে বাসের আলোগুলি ম্লান হয়ে আসলো এবং ধীরে ধীরে নিভে গেলব্যাটারি শেষ হয়ে গেছিলহয়তো লোকটা টর্চটা জ্বেলে বসে থাকল কিন্তু প্রানীগুলো খুবই নিকটে ঘোরাফেরা করতে লাগলোএকসময় সামনের দিকে একটি প্রানী ভাঙ্গা কাঁচের ফোঁকর গলে আসতে চেষ্টা করলোলোকটি টর্চের আলো ফেললোপ্রানীটির মূখ অদৃশ্য হলোকিন্তু জানালা থেকে এক সাথে দুইটা লোকটির উপর লাফ দিলএকটা লোকটার হাত কামড়ে ধরলোহাত থেকে টর্চ পড়ে গেলসাথে সাথে এক গাদা প্রানী বাসের মধ্যে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লোসবগুলো প্রানীর বিশ্রী কালচে দেহঅনেক লম্বা দাতহা করে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল আর তখনই ব্যাপারটার পূণরাবৃত্তি শুরু হলসব কিছু স্থির হয়ে গেল
                প্রানী গুলি এবং বাসের সবাই, আমি তারার আলোয় দেখতে পেলাম সব কিছু পজ হয়ে গেছেএবং তারপর আবার সেই দ্যা হাউস অব ওয়াক্সসিনেমার মত সবকিছু গলতে শুরু করলোপ্রানীগুলি, মানুষ গুলি, আমাদের বাসটা আশেপাশের পাথর এমনকি তারাগুলোও মোমের মত গলে গলে পড়তে লাগলোআমার যখন জ্ঞান ফিরলো আমি তখন আমাকে একটা হাসপাতালের বেডে আবিস্কার করলামপরে শুনেছি আমি দুইদিন অজ্ঞান ছিলামবাস এবং ট্রাক সংঘর্ষে বাসের ১৭ জন মারা গেছেএদের মধ্যে দুইজন মহিলা ছিলপরে আমি খোঁজ খবর করে জেনেছি আমার স্বপ্নে যারা মারা গেছিল বা নিখোঁজ হয়েছিল বাস্তবেও অ্যাক্সিডেন্টে তারা মারা গেছিলআমি অ্যাক্সিডেন্টে বেঁচে যাওয়া মানুষদের সাথে কথা বলেছিকেউ কোন স্বপ্ন বা অন্যরকম কিছু দেখেছে কিনা মনে করতে পারেনাআকরাম নামে একজন শুধু অদ্ভুত কিছু কথা বললোসে কুষ্টিয়া চৌড়হাস থাকে,ব্যবসার কাপড় কিনতে ঢাকা যাচ্ছিলসে বিশ্বাস করে বাসটিকে কোন জ্বীন তুলে নিয়ে তাদের দুনিয়ায় নিয়ে গিয়েছিলএবং পরে আবার ফিরিয়ে দিয়ে গেছেকি কারণে জ্বীন এরকম করলো জিজ্ঞাসা করলে আকরাম বললো আমি কি জানি; জ্বীন জানেআমি ক্যামমা করে কব 

শেষ অংশ

No comments:

Post a Comment

ব্লগ অনুবাদক