ফোর্থ ডাইমেনশনাল ডোর
থিয়রামটা এ ঘটনার ব্যাখ্যার জন্য খারাপ না। শুধু একটা ব্যাপার ব্যাখ্যা করা
যাচ্ছিলনা। পাথর গুলি গড়ায় কেন। পাথরগুলিতে আসলে ধাতুর পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। ধাতু
চৌম্বকশক্তি দ্বারা আকর্ষিত হয়। পাথর গড়ানোর ঘটনা দুইবার ঘটেছিল, দুইবারই
সূর্যাস্তের সময়। ধরে নেয়া যেতে পারে মহাশুন্যের ঐ এলাকায় নির্দিষ্ট সময় পর পর কোন
মহাজাগতিক কারণে শক্তিশালী ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয় এবং তা কিছু সময়
সক্রিয় থাকে। ঠিক ঐ সময় ধাতব পাথরগুলি তাতে আকর্ষিত হয়ে আকর্ষণের অভিমূখে চলতে
শুরু করে। বাসটিও যেহেতু ধাতব ছিল তাই ঐ আকর্ষনে সাড়া দেয়। কাজেই এটা অসম্ভব কিছুই
নয় যে বাস-ট্রাক সংঘর্ষের মূহুর্তে আমি আমার বাস ও যাত্রীরা অন্য কোন স্পেসটাইমে
ঢুকে গেছিলাম এবং সে একই পথে ফিরে আসি। যেহেতু অন্য এক স্পেসটাইমে অনাকাঙ্খিত
বস্তুর উপস্থিতি ও স্পেসটাইমের ভারসাম্য
নষ্ট করে, যতক্ষণ না বস্তু সমূহ তার নির্ধারিত স্থান কালে ফিরে আসে। যার ফলে
বাস্তব ক্ষেত্রে স্পেসটাইমে আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং বাস্তবতা অল্পখানিকটা পরিবর্তিত
হয়ে যায়। বাস্তবে হয়েছেও তাই। আমার মোবাইলের ক্যামেরার সবগুলি ছবি সরিষা ফুলের ছবি
বাসের জানালা দিয়ে তোলা। কিন্তু আমার যতদূর মনে পড়ে আমি এ টাইপের
কোন ছবি তুলিনি। এখন ব্যাপারটা দুইভাবে বিশ্বাস করা যায়। আমার মাথায় আঘাত লাগার কারণে আমি দুইদিন অজ্ঞান ছিলাম। তাই তার আধাঘন্টা একঘন্টা আগে (দশ-পনের
মিনিট আগে) আমি কি করেছি আমার মনে নেই। হয়তো সরিষা ফুলের ছবি তুলছিলাম। অথবা আমি
কোন পরাবাস্তব জগতের ছবি তুলেছি, সেই সব পাথর আর অন্যান্য কিছু। স্পেসটইমের আলোড়ন
সঠিক বাস্তবতার পরিবর্তন ঘটিয়েছে ঐ সব ছবিগুলোকে সরিষা ফুলের ছবি করে দিয়েছে। ছবিগুলি এখনো আমার কাছে আছে,কেউ
চাইলে দেখাতে পারি।
No comments:
Post a Comment